ব্যবহারিক বাংলা|ব্যাকরণ|ব্যাকরণের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
‘ব্যাকরণ’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ এবং এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে – বিশ্লেষণ। শব্দটির ব্যুৎপত্তি এরকম : ব্যাকরণ
ভারতবর্ষে ব্যাকরণ চর্চার ইতিহাস সুপ্রাচীন। আজ হতে প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত পাণিনি সংস্কৃত ভাষাকে বিকৃতির হাত থেতে রক্ষার জন্য আটটি অধ্যায়ে শ্রেণীবিন্যাস করে একখানি সংস্কৃত ব্যাকরণ লেখেন। যার নাম ‘অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ’।
গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, পাণিনির এই গ্রন্থখানি পৃথিবীর প্রথম ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ। যদিও পাণিনির ব্যাকরণ সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করে পরবর্তীতে পতঞ্জলি ও কাত্যায়ন নামের দুজন পন্ডিত ভাষ্য (টীকাগ্রন্থ) রচনা করেছিলেন।
বাংলা ব্যাকরণ সর্বপ্রথম লেখেন একজন পর্তুগিজ পাদ্রি, নাম মানোএল দ্যা আসসুস্পসাঁম (Manoel Da Assumpcam)(Manuel da Assumpção)। ব্যাকরণটির রচনাকাল ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দ। তখন বাংলা হরফ ছিল না বলে রোমান অক্ষরে গ্রন্থটি মুদ্রিত হয়। এরপর, এ গ্রামার অফ দি বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ (A Grammar of the Bangali Language) নামে ইংরেজি অক্ষরে মুদ্রিত প্রথম বাঙলা ব্যাকরণ রচনা করেন ভারতবর্ষে বসবাসরত ইংরেজ পন্ডিত ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড (Nathaniel Brrassey Halhed). হ্যালহেড সাহেবের পথ অনুসরণ করে উইলিয়াম কেরি (William Carey) ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ সংকলন করেন।
ইংরেজিতে আরও যারা বাংলা ব্যাকরণ লেখেন তাদের মধ্যে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য (১৮১৬) কিথ সাহেব (১৮২০); হটন (১৮২১), রাজা রামহোমন রায় (১৮৩৩), শ্যামাচরণ সরকার (১৮৫০), জন বীম্ স্ (১৮৭২), শ্যামাচরণ গাঙ্গুলি (১৮৭৭) যদুনাথ ভট্টাচার্য (১৮৭৯) কে, পি ব্যানার্জী (১৮৯৩) প্রমুখ পন্ডিতগণের নাম উল্লেখ করা যায়।
তবে রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ইংরেজিতে লেখা ব্যাকরণ গ্রন্থটি কলকাতার ‘স্কুল বুক সোসাইটি’ ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ নাম দিয়ে বাংলায় এর অনুবাদ প্রকাশ করেন।
এরপর বাংলা ভাষায় যারা বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছেন তাদের মধ্যে বজ্রকিশোর গুপ্ত, শ্যামাচরণ শর্মা, শ্যামাচরণ সরকার, ব্রজেন্দ্রনাথ বিদ্যালঙ্ককার, নিত্যানন্দ চক্রবর্তী, নীলমণি মুখোপাধ্যায়, লোহারাম শিবোরত্ন, রাজেন্দ্রলাল মিত্র ও মদনমেহান মিত্রের নাম উল্লেখযোগ্য।
তবে আধুনিক যুগে বাংলা ব্যাকরণ লিখে বাংলা ভাষার গতিকে যারা সচল করেছেন, তাঁদের মধ্যে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. সুকুমার সেন, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. কাজী দীন মুহম্মদ প্রমুখ যশস্বী পন্ডিতগণের কাছে আমরা বিশেষভাবে ঋণী হয়ে আছি।
গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, পাণিনির এই গ্রন্থখানি পৃথিবীর প্রথম ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ। যদিও পাণিনির ব্যাকরণ সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করে পরবর্তীতে পতঞ্জলি ও কাত্যায়ন নামের দুজন পন্ডিত ভাষ্য (টীকাগ্রন্থ) রচনা করেছিলেন।
বাংলা ব্যাকরণ সর্বপ্রথম লেখেন একজন পর্তুগিজ পাদ্রি, নাম মানোএল দ্যা আসসুস্পসাঁম (Manoel Da Assumpcam)(Manuel da Assumpção)। ব্যাকরণটির রচনাকাল ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দ। তখন বাংলা হরফ ছিল না বলে রোমান অক্ষরে গ্রন্থটি মুদ্রিত হয়। এরপর, এ গ্রামার অফ দি বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ (A Grammar of the Bangali Language) নামে ইংরেজি অক্ষরে মুদ্রিত প্রথম বাঙলা ব্যাকরণ রচনা করেন ভারতবর্ষে বসবাসরত ইংরেজ পন্ডিত ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড (Nathaniel Brrassey Halhed). হ্যালহেড সাহেবের পথ অনুসরণ করে উইলিয়াম কেরি (William Carey) ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ সংকলন করেন।
ইংরেজিতে আরও যারা বাংলা ব্যাকরণ লেখেন তাদের মধ্যে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য (১৮১৬) কিথ সাহেব (১৮২০); হটন (১৮২১), রাজা রামহোমন রায় (১৮৩৩), শ্যামাচরণ সরকার (১৮৫০), জন বীম্ স্ (১৮৭২), শ্যামাচরণ গাঙ্গুলি (১৮৭৭) যদুনাথ ভট্টাচার্য (১৮৭৯) কে, পি ব্যানার্জী (১৮৯৩) প্রমুখ পন্ডিতগণের নাম উল্লেখ করা যায়।
তবে রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ইংরেজিতে লেখা ব্যাকরণ গ্রন্থটি কলকাতার ‘স্কুল বুক সোসাইটি’ ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ নাম দিয়ে বাংলায় এর অনুবাদ প্রকাশ করেন।
এরপর বাংলা ভাষায় যারা বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছেন তাদের মধ্যে বজ্রকিশোর গুপ্ত, শ্যামাচরণ শর্মা, শ্যামাচরণ সরকার, ব্রজেন্দ্রনাথ বিদ্যালঙ্ককার, নিত্যানন্দ চক্রবর্তী, নীলমণি মুখোপাধ্যায়, লোহারাম শিবোরত্ন, রাজেন্দ্রলাল মিত্র ও মদনমেহান মিত্রের নাম উল্লেখযোগ্য।
তবে আধুনিক যুগে বাংলা ব্যাকরণ লিখে বাংলা ভাষার গতিকে যারা সচল করেছেন, তাঁদের মধ্যে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. সুকুমার সেন, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. কাজী দীন মুহম্মদ প্রমুখ যশস্বী পন্ডিতগণের কাছে আমরা বিশেষভাবে ঋণী হয়ে আছি।
বিশ্লেষণ। অর্থাৎ কোন কিছুকে (ভাষা) বিশেষ রূপে বিশ্লেষণ করা। কেননা বাংলাভাষার ইতিহাস লক্ষ্য করলেই আমরা বুঝতে পারবো, শুরু থেকেই ব্যাকরণবিদগণ এই শাস্ত্রের মাধ্যমেই ভাষার গঠন-প্রকৃতি, ভাষার উপাদান, উকরণ সমক্যভাবে বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করেছেন এবং করছেন।
No comments